Friday, October 22, 2010

শাপ

১০.১০.১৯৭৫ সকাল ৯.৩০
ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ এই ঝামেলা......

"দুইডা দিন ধোইরা কিছু খাই নাই বাবা দুইডা টাকা দেন" কথাটা বলেই আমার পাটা রাস্তায়
জড়িয়ে ধরলো বুড়া ফকিরটা,কি যন্ত্রনা শালা পা ছাড়েও না।আর সময় পেল না হারামির বাচ্চাটা,
মাথাটাই গরম করে দিল টাকা দ্যান,টাকা দেন বলে ।কুত্তার বাচ্চা বলেই দিলাম
একটা লাথি ।হুমরি খেয়ে রাস্তায় পরল ফকিরটা ।পড়েই বলল "লাতি দিলেন ক্যা আমি মানুষ
না?"।শুনেই আবার মাথা হট দিলাম আবার একটা লাথি এবার লাথি খেয়ে গালটা
কেটে রক্ত বের হল হারামিটার,শালা আবার দাড়িয়ে বলে "আল্লা যেন তর পাও দুডা ল্যাংড়া
বানাইযা দেয়"
আবার লাথি মারতে পা উঠানোর আগেই ফকিরটা পালাল ।

১০.১০.১৯৭৫ দুপুর ১.৩০
...মোটামুটি ভালই ইন্টাভিউ দিলাম হয়ত চাকরিটা হতেও পারে দেখি কি হয় ।
১.১১.১৯৭৫ সকাল ৮.৩০
......আজ অফিসে যাচ্ছি মনটা খুব খুশি চাকরিটা হয়ে গেছে খুব ভাল বেতন আজ থেকে আমার
নতুন জিবন শুরু হল ।

..............................
১০.৫.২০১০
আজ আমার ৬৫তম জন্মদিন ।ওয়াইফ গত হয়েছে ১০ বসর আগে ।ছেলে মেয়ে নাতি
নাতনি নিয়ে আজ আমি পরিপুর্ন দাদু ।ছোট নাতণিটার বয়স এখন ৮ ।একদম দাদু দাদু
করে পাগল ।দাদুর জন্য কেক-টেক,গিফট কিনে একদম হুলস্থুল কান্ড করছে ।বড় ছেলে এসে
বলল বাবা চল কেক কাটবে,বলে নিজেই আমার হুইল চেয়ারটা ঠেলে ডাইনিং টেবিলের কাছে
নিয়ে গেল ।
আজ থেকে ৯ বসর আগে হঠাৎ অফিসে আমার স্ট্রোক হয়,কোমরের কাজ থেকে
দুটা পা সাথে সাথে অবস হয়ে যায় অনেক চিকিৎসায়ও আর ঠিক হয়নি
সেই থেকেই হুইল চেয়ারে বসে বসে জীবন কাটছে।
বাকীটুকু পড়ুন ... »

Sunday, July 4, 2010

ক্ষুধা

শহরতলীর খুবই নির্জন একটা এলাকায় ছোট একটা ঘরে একা একা থাকি ।বাবা,মা,ভাই-বোন বলতে এই দুনিয়ায় কেউ আছে কিনা জানি না,ছোট থেকে বড় হয়েছি একটা এতিমখানায় ।সারাদিন টিউশানি করে মাসের শেষে যে কয়টা টাকা পাই তাতে দুবেলা কোনোমতে পেটে-ভাতে খেতে পাই ।
আজ দুপুরে রান্না করতে ঢুকব এমন সময় জুইয়ের ফোন ।কলেজে ছোট একটা আলাপে এরমধ্যেই ও আমার ভাল বন্ধু হয়ে গেছিল ।মেয়েটা ক্যামন যেন উল্টাপাল্টা স্বভাবের ।কথায় কথায় খারাপ কথা আর কথা বলার সময় ও সবার দিকে এমন ভাবে তাকায় যে মনে হয় যেন খেয়ে ফেলবে ।তবে বন্ধু হিসেবে ওকে আমার ভালই মনে হয় ।
তো আজ ফোনে জুই আমার বাসায় আসতে চাইলো ।অনেকদিন থেকেই ও আমার বাসায় আসতে চাইছিল কিন্তু ঠিকানা না জানায় আসতে পারছিল না ।ওকে আসতে বারন করলেও শুনবে না তাই বাসার ঠিকানা বলে দিলাম,ও বলল এখনি আসব কিন্তু আমি বললাম ঠিক আছে আস ।
ঘন্টাখানেক পরেই কলিংবেলের আওয়াজ,বুঝলাম জুই এসেছে ।দরজা খুলে জুই এর দিকে তাকালাম,মনে হল ও ওর সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়েছে ।সিঁদুর লাল রঙের পাতলা শাড়ি,ঠোটে হালকা লাল লিপষ্টিক আর কপালে লাল একটা টিপে ওকে অদ্ভুত সুন্দর লাল পরীর মত লাগছিল ।শাড়িটা এতই পাতলা যে ওর দেহের প্রতিটা বাক আমার কাছে স্পষ্ট ফুটে উঠছিল ।আমি ওর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না,জুই নিজে থেকেই ঘরের ভেতরে এসে চেয়ারে টেনে বসল,আমি একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে হাসল আর বলল কি দেখছ?আমি একটূ থতমত খেয়ে বললাম কিছু না,জুই বলল কি করছিলে?আমি বললাম রান্না ।জুই নিজেই আমার কিচেনে ঢুকে বলল ব্বাবাহ নিজেই রান্না কর?আমি বললাম হ্যাঁ,জুই বলল দাও আমি করে দিচ্ছি আমি না না করে উঠতে বলল কোনো কথা না একদম চুপ,আমি বললাম থাঙ্ক ইউ জুই তুমি অনেক ভাল ।রান্না করার সময় বার বার শাড়ীর আচল বুক থেকে সরে যাওয়ায় ওর গ্রীক দেবীদের মত শরীর আমি  দেখতে পাচ্ছিলাম,সেটা আড়চোখে দেখতে পেয়ে জুই মিটিমিটি হাসছিল ।
হঠাৎ জুই বলল একটু আগে তুমি বললে না যে আমি খুব ভাল?আমি বললাম হ্যাঁ,জুই বলল তুমি আমার পাশে একটু দাড়ালেই বুঝতে পারবে আমি কতটা ভাল ।আমি ওর কথা না বুঝে বললাম মানে?ও বলল আহা দাড়াও না?
আমি জ়ুইয়ের পাশে দাড়াতেই ও আমাকে পাগলের মত জড়িয়ে ধরে ওর বুকের সাথে পিষে ফেলতে লাগল ।কামনার এক তীব্রস্রোত আমার সাড়া শরীরে বয়ে গেল,আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে ও আমাকে আরও শক্ত করে জাপটে ধরল,ওর কোমল বাহু আর নরম বুকের ছোয়ায় আমি শিউরে উঠলাম,এরপর নিজেকে সামলাতে পারলাম না,

আমার কামনার ভয়ালস্রোত জুইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল ।
<<<<<<<৪ ঘন্টা পরের কথা >>>>>>>>>
জুই আসায় রান্নার মেনুটা বদলাতে বাধ্য হলাম ।আমি গরীব তাই সবসময় ভাল খাবার কথা চিন্তা করতে পারি না ।
তবে আজ জুই এসেছে আজকের কথা ভিন্ন ।
এখন মাংস রান্না করছি,নিজেই রাধছি কারন জুই রান্না করার অবস্থায় নেই ।ঘ্রানে জিভে পানি এসে যাচ্ছে,অনেকদিন পর আজ একটু ভাল খাব ।

এক টুকরো মাংস করাই থেকে তুলে খেয়ে দেখলাম 
আহ দারুন হয়েছে স্বাদটা,
আসলে জুইয়ের মাংস যে অনেক টেষ্টি হবে সেটা ওকে প্রথম দিন দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম,
ও হ্যাঁ জুইয়ের কলজেটা রেখে দিয়েছি শুক্রবার রান্না করব অনেক ঝাল দিয়ে আর মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট.............................
বাকীটুকু পড়ুন ... »

ইরাগল্প

সন্ধ্যা ৭.৩০। টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে 
বরিশালের সবসময়ের ব্যাস্ত রাস্তা সদর রোড দিয়ে হাটছি ।হঠাৎ করেই ইরা কে দেখলাম ।এই ইরা,
ইন্টারলাইফে যে ছিল আমার কল্পনার নিত্যসঙ্গী,প্রতিদিন কলেজে গিয়ে যাকে একবার না দেখে থাকতে পারতাম না ।
কলেজে ওর দিকেই সবসময় তাকিয়ে থাকতাম বলে বন্ধুরা আমাকে ডাকত ইরাপাগলা ।ইরা আমাকে বেশি পাত্তা দিত না তবে আমার মনে হয় ও আমার চোখের চাহুনী ঠিকই বুঝতে পারত ।ইন্টার পাশ করার পর ইরার সাথে আর দেখা হয়নি ।তো আজ ইরাকে দেখেই চিনতে পারার কারন ওর অবিকল আগের সেই চেহারা,সেই চুল,সেই হাটার ভঙ্গী আর হাটার সময় এদিক ওদিক তাকানো ।ওর সামনে দিয়ে যাবার সময় ওকে না চেনার ভান করলাম ও কিন্তু ঠিকই আমাকে চিনে ফেলে ডাক দিল মারুফ এইইইইই মারুফ,আমি ওর দিকে ঘুড়ে তাকিয়ে বললাম ক্যামন আছো ইরা?
ইরা বলল যাক চিনতে পারলে তাহলে আমি বললাম চিনবনা ক্যানো যদিও অনেকদিন পরে দেখা,ইরা বলল হ্যা অনেকদিন পরে,তা কোথায় যাও?আমি বললাম এইত একটু হাটাহাটি করছিলাম ইরা বলল ঠিক আছে
তোমার সাথে একটু হাটতে পারি?আমি একটু অবাক হলাম যে মেয়ে কলেজে আমাকে পাত্তাই দিত না সে আমার সাথে এখন হাটতে চায় ।আমি বললাম ঠিক আছে চল ।এরপর রাস্তায় হাটতে হাটতে আমাদের কথা বার্তা এগুতে লাগলো ।কিছু সময় হাটার পর ইরা বলল সামনেই তো পার্ক চল পার্কে বসে কথা বলি পা ব্যাথা করছে ।তো দুজনে পার্কে গিয়ে বসলাম ।দুজনে কলেজের অনেক পুরানো স্মৃতি নিয়ে কথা বলছিলাম,ইরা বলল তোমার গার্লফ্রেন্ড ক্যামন আছে?আমি বললাম আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই,ইরা বলল আমাকে এখনো ভুলতে পারনি দেখছি ।ওর কথা শুনে আমি ক্যামন বোকা বোকা হয়ে গেলাম ।

হঠাৎ ইরা বলল আমার মোবাইল নাম্বারটা রাখো কারন আমি এখন যাব,ওর নাম্বারটা আমার মোবাইলে সেভ করে রাখলাম ।আমি ওকে রিক্সা করে দেব কিনা জিজ্ঞাসা করতে বলল লাগবে না,
ইরা চলে যেতে আমিও পরে বাসায় এসে পরলাম ।দুদিন পরে, আমি ইরার নাম্বারে ফোন দিতে গম্ভীর কন্ঠের এক মহিলা  ফোন ধরে হ্যালো বললেন
আমি সালাম দিয়ে বললাম এটা কি ইরার নাম্বার?
মহিলা বললেন হ্যা আমি ওর মা তুমি কে?
আমি বললাম আন্টি আমি ওর ফ্রেন্ড অনেকদিন ওর সাথে যোগাযোগ নেই তাই ফোন করলাম ।
ইরার মা বললেন মোবাইল নাম্বার কোথায় পেলে?

আমি বললাম এক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে(ইরার সাথে আমার দুই দিন আগে দ্যাখা হয়েছিল এটা বলতে চাইনি)
ইরার মা বললেন তুমি ইরার ব্যাপারে কিছু জানো না?
আমি বললাম কি ব্যাপার আন্টি?
ইরার মা বললেন ইরা বছরখানেক আগে সন্ধ্যাবেলায় ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে উঠে দূর্ঘটনাবশত পিছলে ছাদের কিনারা থেকে সরাসরি নিচে পড়ে যায় ,হাসপাতালে নেয়ার পথে ও মারা যায়..................

(ইরা একটা কল্পিত চরিএ,গল্পটাও কাল্পনিক এবং ফালতু)

বাকীটুকু পড়ুন ... »

Saturday, June 19, 2010

ওয়াকা ওয়াকা

বর্তমানে বিশ্বকাপ ফুটবল জ্বরে দুনিয়া কাঁপছে,কিন্তু তার চাইতেও বেশি কাঁপছে সাকিরার ওয়াকা ওয়াকা গানে ।ভিডিওটা ডাউনলোড করে ফেললাম ।শুনতে ভালই লাগছে ।
ওয়াকা ওয়াকা ভিডিও ইউটিউব থেকে শুনতে চাইলে এটায় ক্লিক করে শুনতে পারেন ।

Lyric

You're a good soldier
Choosing your battles
Pick yourself up
And dust yourself off
And back in the saddle

You're on the frontline
Everyone's watching
You know it's serious
We're getting closer
This isnt over

The pressure is on
You feel it
But you've got it all
Believe it

When you fall get up
Oh oh...
And if you fall get up
Oh oh...

Tsamina mina
Zangalewa
Cuz this is Africa

Tsamina mina eh eh
Waka Waka eh eh

Tsamina mina zangalewa
Anawa aa
This time for Africa

Listen to your god
This is our motto
Your time to shine
Dont wait in line
Y vamos por Todo

People are raising
Their Expectations
Go on and feed them
This is your moment
No hesitations

Today's your day
I feel it
You paved the way
Believe it

If you get down
Get up Oh oh...
When you get down
Get up eh eh...

Tsamina mina zangalewa
Anawa aa
This time for Africa

Tsamina mina eh eh
Waka Waka eh eh

Tsamina mina zangalewa
Anawa aa

Tsamina mina eh eh
Waka Waka eh eh
Tsamina mina zangalewa
This time for Africa 
বাকীটুকু পড়ুন ... »

একটি গান

বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য কেনান এর গাওয়া  Give me freedom, give me fire,
give me reason, take me higher গানটা নেট এ বসে শুনছিলাম ।হঠাৎ দেখলাম এটার একটা অরিজিনাল ভার্শনও রয়েছে,সাথে সাথে লিরিক আর গানটা ডাউনলোড করে ফেললাম ।গানটা শোনা ও লিরিকটা দেখার পর আমার দিক থেকে এটার জন্য একটাই কমেন্ট-(song of the century)।

অরিজিনাল ভার্শনটা শুনতে চাইলে এটায় ক্লিক করে ইউটিউব থেকে শুনতে পারেন ।
Lyric

When I get older, I will be stronger
They’ll call me freedom, just like a Waving Flag

When I get older, I will be stronger
They’ll call me freedom, just like a Waving Flag
And then it goes back, and then it goes back
And then it goes back

Born to a throne, stronger than Rome
But Violent prone, poor people zone
But it’s my home, all I have known
Where I got grown, streets we would roam
But out of the darkness, I came the farthest
Among the hardest survival
Learn from these streets, it can be bleak
Except no defeat, surrender retreat

So we struggling, fighting to eat and
We wondering when we’ll be free
So we patiently wait, for that fateful day
It’s not far away, so for now we say

When I get older, I will be stronger
They’ll call me freedom, just like a Waving Flag
And then it goes back, and then it goes back
And then it goes back

So many wars, settling scores
Bringing us promises, leaving us poor
I heard them say, love is the way
Love is the answer, that’s what they say,
But look how they treat us, make us believers
We fight their battles, then they deceive us
Try to control us, they couldn’t hold us
Cause we just move forward like Buffalo Soldiers

But we struggling, fighting to eat
And we wondering, when we’ll be free
So we patiently wait, for that faithful day
It’s not far away, but for now we say

When I get older, I will be stronger
They’ll call me freedom, just like a Waving Flag
And then it goes back, and then it goes back
And then it goes back

When I get older, I will be stronger
They’ll call me freedom, just like a Waving Flag
And then it goes back, and then it goes back
And then it goes back

(Ohhhh Ohhhh Ohhhhh Ohhhh)
And everybody will be singing it
(Ohhhh Ohhhh Ohhhhh Ohhhh)
And you and I will be singing it
(Ohhhh Ohhhh Ohhhhh Ohhhh)
And we all will be singing it
(Ohhh Ohh Ohh Ohh)

When I get older, I will be stronger
They’ll call me freedom, just like a Waving Flag
And then it goes back, and then it goes back
And then it goes back

When I get older, I will be stronger
They’ll call me freedom, just like a Waving Flag
And then it goes back, and then it goes back
And then it goes back

When I get older, when I get older
I will be stronger, just like a Waving Flag
Just like a Waving Flag, just like a Waving flag
Flag, flag, Just like a Waving Flag.
বাকীটুকু পড়ুন ... »

Thursday, June 17, 2010

ব্লগিং,এ্যাডসেন্স ও আমি

ইদানিং বাংলায় ব্লগিং করলেও ব্লগ ও এ্যাডসেন্স আমার কাছে নতুন নয় ।ব্লগ ও এ্যাডসেন্সের সাথে আমার পরিচয় আরো ২ বছর আগে থেকে ।২ বছর আগে হঠাৎ নাইম একদিন ফোন করে বলল যে মারুফ ভাই শুনছেন ইন্টারনেটে তো খুব সহজে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়,আমিতো শুনে ছোটোখাটো একটা লাফ দিয়ে বললাম তাই নাকি?নাইম বলল হ্যাঁ অনেকে নাকি মাসে ১০-১৫ হাজার ডলার ইনকাম করছে ।আমি বললাম কিন্তু ইনকাম করার সিস্টেমটা কি?নাইম বলল আমিও জানি না তবে ঢাকায় আমার এক বড় ভাই জানে ।আমি বললাম কোনো ভাবে তাকে বরিশাল এ আনা যায় না?নাইম বলল তাহলে মারুফ ভাই আমি ঢাকার বড় ভাইয়ের সাথে একটু কথা বলি ।এরপর নাইমের ২ দিন আর কোনো খবর নেই ।৩য় দিন নাইম আমাকে ফোন করে জানালো যে ও ওর ঢাকার বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলেছে এবং ওর বড় ভাই বরিশালে আসতে রাজি আছে কিন্তু শর্ত হোল যে অন্তত ১৫ জন ছাএ থাকতে হবে এবং প্রত্যেককে ১২০০ করে টাকা দিতে হবে ।তো শেষ প্রর্যন্ত ১৫ জন যোগার হল এবং সবাই নাইমের কাছে ১২০০ টাকা করে জমা দিল এবং নাইমের সেই বড় ভাই নাম সাইদুর রাহমান বরিশাল এ আসলেন।
পরিচিতি শেষে প্রথম দিন সাইদুর ভাই কিভাবে ব্লগস্পটে ব্লগ বানাতে হ্য় সেটা শিখালেন এবং পরের দিন শিখালেন এডসেন্স এ্যাড কিভাবে ব্লগ এ বসাতে হয় এবং বলে দিলেন যে ফেসবুক,ইয়াহু,জিটক এগুলোর সাহায্যে ব্লগ এর কথা সবাইকে জানাতে এবং সবাইকে এ্যাড এ ক্লিক করার জন্য অনুরোধ করতে ।এও বলে দিলেন যে আমরা নিজেরা যদি ইংলিশ এ ব্লগিং করতে না পারি তাহলে যেনো অন্য ব্লগ থেকে লেখা কপি করে নিজের ব্লগ এ দিয়ে দেই ।ভ্লগিং করে উনি কযটা চেক পেয়েছেন প্রশ্ন করতে সাইদুর ভাই জবাব দিলেন ১০ টা ।তো শুরু করলাম আমার ১ম ব্লগ www.ghost-ghostinfo.blogspot.com ।ইংলিশ এ তখন খুব কাঁচা ছিলাম বলে সাইদুর ভাইএর কথামত এই ব্লগের সব পোষ্ট অন্য ওয়েবসাইট থেকে কপি-পেষ্ট করে দিলাম এবং এ্যাডসেন্স এ্যাড দিয়ে দিলাম ।হাসান ভাই আর নাইমকে ফোনে বলে দিলাম যে ওরা দুইজন যেন আমার এ্যাড এ ক্লিক করে এবং আমিও ওদের এ্যাড এ ক্লিক করব এছাড়াও ইয়াহুতে বিভিন্ন রুম এ গিয়ে ডাইরেক্ট ব্লগ এর নাম দিয়ে সবাইকে ক্লিক করতে বলতে লাগলাম।আর আমি,হাসান ভাই আর নাইম এই তিনজনই গুগলকে নিজেদের বাবার সম্পত্তি মনে করে একে অন্যের এ্যাড এ ডেইলি তিন থেকে চার ঘন্টা করে ক্লিক করতে লাগলাম ।এভাবে ক্লিক করতে করতে প্রথম এক সপ্তাহে আমার এ্যাডসেন্স এ্যাকউন্টে ইনকাম হোল ২৫ ডলার,আমিতো মহা খুশি ১ম মাসের ১০০ ডলার দিয়ে কি কি কেনাকাটা করব আর ২য় মাসের চেক দিয়ে কোথায় ঘুরতে যাব তার একটা খসড়া তৈরী করে ফেললাম এমনকি সপ্নেও দেখে ফেললাম যে চেক ভাঙিয়ে কুয়াকাটা ঘুরতে গেছি ।কিন্তু আমার সুখসপ্ন ধুয়া হয়ে গেল ১০ম দিন এ্যাডসেন্স এ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে,একাউন্ট ক্লোজ হয়ে গেছে আর ব্লগে কোনও এ্যাড দেখা যাচ্ছে না,আমার ত পুরা মাথায় হাত ।হাসান ভাইকে ফোন দিতে সে বলল তারও এক্ই অবস্থা,নাইমের এ্যাকাউন্টও দুইদিন পরে ক্লোজ ।আসলে আমরা তিনজন গুগল এ্যাডসেন্সের কোনো রুলসই মানি নি যেটা পরে জানতে পেরেছি ।তাই যারা এ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান তাদেরকে বলতে চাই যে,
এ্যাডসেন্স এর রুলস মেনে চলুন নাহলে আপনাদেরও মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে বেশি দেরি নাই আর সাইদুর ভাইয়ের মত ব্লগ শিক্ষাদানকারীদের হাত থেকে সাবধান ।
বাকীটুকু পড়ুন ... »

Tuesday, June 15, 2010

বন্ধু স্মৃতির পাচ্যালি

(আজ একটা ঘটনা মনে করে একা একাই অনেকক্ষন হাসলাম ।তাই ব্লগ এ একটু না লিখে থাকতে পারলাম না)

বন্ধুবর তিলক !সবার ভাল বন্ধু হিসেবে ওর যথেষ্ট সুনাম থাকলেও ওর আসল খ্যাতি প্রেম করায় এবং শেষে ছ্যাকা খাওয়ায় ।এখন প্রর্যন্ত ডজনখানেক প্রেম এ ছ্যাকা খেয়ে বন্ধুমহলে বিশিষ্ট ছ্যাকা বিশারদ হিসেবে খ্যাত ।
আমি ওর জানি দোস্ত ছিলাম তাই ওর প্রেম ও ছ্যাকা বিষয়ক খুটিনাটি ঘটনাগুলো আমি সবই জানতাম ।
তিলক এর প্রেমের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপারটি হচ্ছে-
যার সাথেই ও প্রেম করেছে তার কাছেই ছ্যাকা খেয়েছে এবং সবার জন্য্ই হাত কেটেছে(তিলক এর মতে
ছ্যাকা খেলে নাকি হাত কাটা জরুরী)।এই হাত কাটাকুটির ফলে  ওর হাতের চেহারা এখন অনেকটা
কুষ্ঠ রোগীর মত ।
তো যাই হোক শেষবার তিলক রিতুর কাছে ছ্যাকা খেয়ে সোজা আমার বাসায় হাজির,তো বাসায় অনেক
মেহমান থাকার কারনে দুই বন্ধু ছাদে গিয়ে বসলাম ।যথারীতি নগদে ছ্যাকাজনিত কারনে তিলকের কান্না
ও ছ্যাকাইতিহাস শুনতে হল । কান্নাকাটি করতে করতেই আমাকে হঠাৎ আমাকে বলল...
তিলকঃ দোস্ত আমার লোইগ্যা কিছু কর নাইলে এই সাদ দিয়া লাফাইয়া পইরর‌্যা মরমু ।
আমিঃ  কি কস শালা ফালতু কথা কইস না(একটু ভয়ে ভয়ে)
তিলকঃ (কান্নারত কন্ঠে)মরমুই মরমু
আমিঃ  (আবেগী গলায়)এই কথা কইস না দোস্ত তুই মরলে আমিও ত শেষ
তিলকঃ (কান্নারত কন্ঠে  একটু অবাক হয়ে)তোর আবার কি হইবে?
আমিঃ দ্যাখ তুই আমার বাসার সাদ দিয়া পইরা সুইসাইড করলে পুলিশ ত আগে আমারেই ধইরা প্যাদানি
দেবে তার চাইতে তুই নিজের বাসা বা রিতুর বাসার সাদ দিয়া লাফ দিস আর একটা সুইসাইড নোটে
লেইখা যাইছ যে আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি না তবে পাশের বাসার রিতু একটু দায়ি ।
এরপর রাগ করে তিলক কয়দিন আমার বাসায় আসে নি,মোবাইল ও ধরেনি ।ওইদিন রাতে মোবাইলে একটা  মেসেজ দিয়েছিল এইভাবে "amare r phone dibi na tui amar
friend na...(শেষে একটা গালিও ছিল সেটা লিখলাম না)"।
পরিশেষ-অজানা কারনে তিলকের আর সুইসাইড করা হয়নি ।এখন অবশ্য আমার সাথে ওর খাতির ভালই আর
বর্তমানে ও ওর নিউ (হয়তবা)প্রেমিকার সাথে মোবাইলে চাপাবাজ়িতে ব্যাস্ত ।
বাকীটুকু পড়ুন ... »

DON'T CRY JONI.mp3
Found at bee mp3 search engine