Sunday, July 4, 2010

ক্ষুধা

শহরতলীর খুবই নির্জন একটা এলাকায় ছোট একটা ঘরে একা একা থাকি ।বাবা,মা,ভাই-বোন বলতে এই দুনিয়ায় কেউ আছে কিনা জানি না,ছোট থেকে বড় হয়েছি একটা এতিমখানায় ।সারাদিন টিউশানি করে মাসের শেষে যে কয়টা টাকা পাই তাতে দুবেলা কোনোমতে পেটে-ভাতে খেতে পাই ।
আজ দুপুরে রান্না করতে ঢুকব এমন সময় জুইয়ের ফোন ।কলেজে ছোট একটা আলাপে এরমধ্যেই ও আমার ভাল বন্ধু হয়ে গেছিল ।মেয়েটা ক্যামন যেন উল্টাপাল্টা স্বভাবের ।কথায় কথায় খারাপ কথা আর কথা বলার সময় ও সবার দিকে এমন ভাবে তাকায় যে মনে হয় যেন খেয়ে ফেলবে ।তবে বন্ধু হিসেবে ওকে আমার ভালই মনে হয় ।
তো আজ ফোনে জুই আমার বাসায় আসতে চাইলো ।অনেকদিন থেকেই ও আমার বাসায় আসতে চাইছিল কিন্তু ঠিকানা না জানায় আসতে পারছিল না ।ওকে আসতে বারন করলেও শুনবে না তাই বাসার ঠিকানা বলে দিলাম,ও বলল এখনি আসব কিন্তু আমি বললাম ঠিক আছে আস ।
ঘন্টাখানেক পরেই কলিংবেলের আওয়াজ,বুঝলাম জুই এসেছে ।দরজা খুলে জুই এর দিকে তাকালাম,মনে হল ও ওর সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়েছে ।সিঁদুর লাল রঙের পাতলা শাড়ি,ঠোটে হালকা লাল লিপষ্টিক আর কপালে লাল একটা টিপে ওকে অদ্ভুত সুন্দর লাল পরীর মত লাগছিল ।শাড়িটা এতই পাতলা যে ওর দেহের প্রতিটা বাক আমার কাছে স্পষ্ট ফুটে উঠছিল ।আমি ওর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না,জুই নিজে থেকেই ঘরের ভেতরে এসে চেয়ারে টেনে বসল,আমি একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে হাসল আর বলল কি দেখছ?আমি একটূ থতমত খেয়ে বললাম কিছু না,জুই বলল কি করছিলে?আমি বললাম রান্না ।জুই নিজেই আমার কিচেনে ঢুকে বলল ব্বাবাহ নিজেই রান্না কর?আমি বললাম হ্যাঁ,জুই বলল দাও আমি করে দিচ্ছি আমি না না করে উঠতে বলল কোনো কথা না একদম চুপ,আমি বললাম থাঙ্ক ইউ জুই তুমি অনেক ভাল ।রান্না করার সময় বার বার শাড়ীর আচল বুক থেকে সরে যাওয়ায় ওর গ্রীক দেবীদের মত শরীর আমি  দেখতে পাচ্ছিলাম,সেটা আড়চোখে দেখতে পেয়ে জুই মিটিমিটি হাসছিল ।
হঠাৎ জুই বলল একটু আগে তুমি বললে না যে আমি খুব ভাল?আমি বললাম হ্যাঁ,জুই বলল তুমি আমার পাশে একটু দাড়ালেই বুঝতে পারবে আমি কতটা ভাল ।আমি ওর কথা না বুঝে বললাম মানে?ও বলল আহা দাড়াও না?
আমি জ়ুইয়ের পাশে দাড়াতেই ও আমাকে পাগলের মত জড়িয়ে ধরে ওর বুকের সাথে পিষে ফেলতে লাগল ।কামনার এক তীব্রস্রোত আমার সাড়া শরীরে বয়ে গেল,আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে ও আমাকে আরও শক্ত করে জাপটে ধরল,ওর কোমল বাহু আর নরম বুকের ছোয়ায় আমি শিউরে উঠলাম,এরপর নিজেকে সামলাতে পারলাম না,

আমার কামনার ভয়ালস্রোত জুইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল ।
<<<<<<<৪ ঘন্টা পরের কথা >>>>>>>>>
জুই আসায় রান্নার মেনুটা বদলাতে বাধ্য হলাম ।আমি গরীব তাই সবসময় ভাল খাবার কথা চিন্তা করতে পারি না ।
তবে আজ জুই এসেছে আজকের কথা ভিন্ন ।
এখন মাংস রান্না করছি,নিজেই রাধছি কারন জুই রান্না করার অবস্থায় নেই ।ঘ্রানে জিভে পানি এসে যাচ্ছে,অনেকদিন পর আজ একটু ভাল খাব ।

এক টুকরো মাংস করাই থেকে তুলে খেয়ে দেখলাম 
আহ দারুন হয়েছে স্বাদটা,
আসলে জুইয়ের মাংস যে অনেক টেষ্টি হবে সেটা ওকে প্রথম দিন দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম,
ও হ্যাঁ জুইয়ের কলজেটা রেখে দিয়েছি শুক্রবার রান্না করব অনেক ঝাল দিয়ে আর মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট.............................
বাকীটুকু পড়ুন ... »

ইরাগল্প

সন্ধ্যা ৭.৩০। টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে 
বরিশালের সবসময়ের ব্যাস্ত রাস্তা সদর রোড দিয়ে হাটছি ।হঠাৎ করেই ইরা কে দেখলাম ।এই ইরা,
ইন্টারলাইফে যে ছিল আমার কল্পনার নিত্যসঙ্গী,প্রতিদিন কলেজে গিয়ে যাকে একবার না দেখে থাকতে পারতাম না ।
কলেজে ওর দিকেই সবসময় তাকিয়ে থাকতাম বলে বন্ধুরা আমাকে ডাকত ইরাপাগলা ।ইরা আমাকে বেশি পাত্তা দিত না তবে আমার মনে হয় ও আমার চোখের চাহুনী ঠিকই বুঝতে পারত ।ইন্টার পাশ করার পর ইরার সাথে আর দেখা হয়নি ।তো আজ ইরাকে দেখেই চিনতে পারার কারন ওর অবিকল আগের সেই চেহারা,সেই চুল,সেই হাটার ভঙ্গী আর হাটার সময় এদিক ওদিক তাকানো ।ওর সামনে দিয়ে যাবার সময় ওকে না চেনার ভান করলাম ও কিন্তু ঠিকই আমাকে চিনে ফেলে ডাক দিল মারুফ এইইইইই মারুফ,আমি ওর দিকে ঘুড়ে তাকিয়ে বললাম ক্যামন আছো ইরা?
ইরা বলল যাক চিনতে পারলে তাহলে আমি বললাম চিনবনা ক্যানো যদিও অনেকদিন পরে দেখা,ইরা বলল হ্যা অনেকদিন পরে,তা কোথায় যাও?আমি বললাম এইত একটু হাটাহাটি করছিলাম ইরা বলল ঠিক আছে
তোমার সাথে একটু হাটতে পারি?আমি একটু অবাক হলাম যে মেয়ে কলেজে আমাকে পাত্তাই দিত না সে আমার সাথে এখন হাটতে চায় ।আমি বললাম ঠিক আছে চল ।এরপর রাস্তায় হাটতে হাটতে আমাদের কথা বার্তা এগুতে লাগলো ।কিছু সময় হাটার পর ইরা বলল সামনেই তো পার্ক চল পার্কে বসে কথা বলি পা ব্যাথা করছে ।তো দুজনে পার্কে গিয়ে বসলাম ।দুজনে কলেজের অনেক পুরানো স্মৃতি নিয়ে কথা বলছিলাম,ইরা বলল তোমার গার্লফ্রেন্ড ক্যামন আছে?আমি বললাম আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই,ইরা বলল আমাকে এখনো ভুলতে পারনি দেখছি ।ওর কথা শুনে আমি ক্যামন বোকা বোকা হয়ে গেলাম ।

হঠাৎ ইরা বলল আমার মোবাইল নাম্বারটা রাখো কারন আমি এখন যাব,ওর নাম্বারটা আমার মোবাইলে সেভ করে রাখলাম ।আমি ওকে রিক্সা করে দেব কিনা জিজ্ঞাসা করতে বলল লাগবে না,
ইরা চলে যেতে আমিও পরে বাসায় এসে পরলাম ।দুদিন পরে, আমি ইরার নাম্বারে ফোন দিতে গম্ভীর কন্ঠের এক মহিলা  ফোন ধরে হ্যালো বললেন
আমি সালাম দিয়ে বললাম এটা কি ইরার নাম্বার?
মহিলা বললেন হ্যা আমি ওর মা তুমি কে?
আমি বললাম আন্টি আমি ওর ফ্রেন্ড অনেকদিন ওর সাথে যোগাযোগ নেই তাই ফোন করলাম ।
ইরার মা বললেন মোবাইল নাম্বার কোথায় পেলে?

আমি বললাম এক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে(ইরার সাথে আমার দুই দিন আগে দ্যাখা হয়েছিল এটা বলতে চাইনি)
ইরার মা বললেন তুমি ইরার ব্যাপারে কিছু জানো না?
আমি বললাম কি ব্যাপার আন্টি?
ইরার মা বললেন ইরা বছরখানেক আগে সন্ধ্যাবেলায় ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে উঠে দূর্ঘটনাবশত পিছলে ছাদের কিনারা থেকে সরাসরি নিচে পড়ে যায় ,হাসপাতালে নেয়ার পথে ও মারা যায়..................

(ইরা একটা কল্পিত চরিএ,গল্পটাও কাল্পনিক এবং ফালতু)

বাকীটুকু পড়ুন ... »

DON'T CRY JONI.mp3
Found at bee mp3 search engine